প্রতিষ্ঠার ৫৮ বছর পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শততম সিজার (dailypurbokontho.com)
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৫৮ বছর পর শততম সিজারিয়ান অপারেশনে নবজাতকের জন্ম হয়। ২৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় শততম এই হাসপাতালে সিজার করা হয়।
এর আগে গত এপ্রিল মাসে দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে এক প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো অস্ত্রোপচার কার্যক্রম
চালু করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সাড়ে ৩ লক্ষ মানুষের চিকিৎসক চাহিদার প্রয়োজনে ২০১৮ সালের ৩১ শয্যা হাসপাতালটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। এরপর থেকে একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও হাসপাতালে পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি, এনেস্থেসিয়া ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে অপারেশন থিয়েটার চালু করা সম্ভব হয়নি। গত আট মাস আগে নতুন অপারেশন থিয়েটার ও একজন গাইনী কনসালট্যান্ট হাসপাতালে নিয়োগ পাওয়ায় অপারেশনের সুযোগ তৈরি হয়।
বিনামূল্যে শততম সিজারে জন্ম নেওয়া কন্যা সন্তানের মায়ের নাম মিতালী দাস। তার স্বামীর নাম টিটু দাস। বাড়ি হিলচিয়া ইউনিয়নের নোয়াকান্দি গ্রামে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিনের নেতৃত্বে সিজারিয়ান অপারেশন করেন এনেস্থেসিয়া ডা. মাহবুবুর রহমান, সার্জন ডা. কামরুন নাহার, সার্জন ডা. শাহীন মিয়া, ডা. রাবেয়া আক্তার।
এ সময় তাদের সহযোগিতায় ছিলেন, ওটি ইনচার্জ মুনতাহিনা, সাবিকুন নাহার, গোল নাহার বেগম, ছালমা আক্তার।
নবজাতক কন্যা সন্তানের পিতা টিটু দাস বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে সিজার করালে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা ব্যয় হতো। যা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে এই সুযোগ পেয়ে খুব খুশি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. সিনথিয়া তাসমিন এ প্রতিনিধিকে বলেন, এক বছর আগে এই হাসপাতালটিতে ছিল চিকিৎসক সংকট। ছিলনা আলট্রাসনোগ্রাফি, ইকো মেশিন, ইসিজি মেশিন, অপারেশন থিয়েটার। স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে যন্ত্রপাতি, চিকিৎসক, টেকনিশিয়ান, নার্সসহ সকল সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি। তাদের সহযোগিতায় অল্প দিনের মধ্যে ৫৮ বছর পর অপারেশন থিয়েটার চালু করি। বুধবার দুটি অপারেশনের মধ্য দিয়ে ১০১তম সফল সিজারিয়ান সম্পূর্ণ হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS