কিশোরগঞ্জে পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা
কিশোরগঞ্জে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা বিভাগের আয়োজনে আজ ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকালে জেলা কালেক্টরেট সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। কমিটির সদস্য সচিব সিভিল সার্জন ডা. সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভিল সার্জান কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. আলপনা মজুমদার।
কর্মশালায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা পুষ্টি কমিটির উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুবেল মাহমুদ, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক নাজমুল আনোয়ার, সিনিয়র জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. সামছুল হক, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান খান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মহসীন খান, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুন্নাহার মাকসুদা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মজিব আলম, সাংবাদিক মোস্তফা কামাল, সাইফুল হক মোল্লা দুলু প্রমুখ আলোচনা করেন।
সভায় জানানো হয়, এক সময় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনই ছিল বড় লক্ষ্য। এখন দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন জোর দেয়া হচ্ছে পুষ্টির ওপর। পাশাপাশি জোর দেয়া হচ্ছে দূষণমুক্ত খাবারের ওপর। পুষ্টি ছাড়া একটি সুস্থ জাতি সম্ভব নয়। কেবল পেট ভরে খেলে হবে না, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। এটা সকল বয়সের মানুষের জন্যই প্রযোজ্য। দেশের ২২টি মন্ত্রণালয় পুষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এছাড়া কিছু এনজিও এবং বিভিন্ন সংগঠনও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে।
প্রবন্ধে বলা হয়, ২০২০ সালের জরিপ অনুযায়ী বিশ্বে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা ১৪৪ মিলিয়ন। ক্ষীণকায় শিশুর সংখ্যা ৪৭ মিলিয়ন। আর বেশি ওজনের শিশুর সংখ্যা ৩৮ মিলিয়ন। আমাদের দেশে ২০২৪ সালের মধ্যে খর্বকায় শিশুর সংখ্যা ২৫ ভাগে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছে। বক্তাগণ বলেন, দেশে এখন পর্যাপ্ত খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। এখন প্রয়োজন পুষ্টি জ্ঞান অর্জন করা। মাছ মাংস প্রোটিনের জন্য প্রয়োজন হলেও পর্যাপ্ত শাকসবজির খাওয়ার ওপর সকল বক্তাই জোর দিয়েছেন।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS