Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped


Title
অষ্টগ্রামে জরায়ু মুখ ক্যানসার শনাক্তে ভায়া ক্যাম্পের সফলতা
Details

অষ্টগ্রামে জরায়ু মুখ ক্যানসার শনাক্তে ভায়া ক্যাম্পের সফলতা

কিশোরগঞ্জের হাওড় উপজেলা অষ্টগ্রামের আটটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রামে জরায়ু মুখে ক্যানসার শনাক্তকরণের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর খসরুর নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম। এ টিম জরায়ু মুখে ক্যানসার শনাক্তকরণ (ভায়া) ক্যাম্প পরিচালনা করতে কখনো হেঁটে, কখনো নৌকায়, আবার কখনো অটোরিকশায় উপজেলা থেকে মাইলের পর মাইল দূরে যাচ্ছেন। হাওড়বেষ্টিত এ উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে ইতোমধ্যে চারটিতে ভায়া ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে গত নভেম্বর ২০২২ সাল থেকে এই উপজেলার চারটি ইউনিয়নে চারটি ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৩০ থেকে ৬০ বছরের ৯৫০ জন মহিলা অংশ নেন। পরীক্ষা করে প্রাথমিকভাবে ভায়া পজিটিভ পাওয়া গেছে ১০ জনের মধ্যে। গত রোববার সকালে উপজেলার বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের লাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক নারী ভিড় জমিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ভেতরে চলছে ভায়া ক্যাম্প। আর ক্যাম্প পরিচালনা করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ওমর খসরু। সঙ্গে রয়েছে নার্সিং সুপার ভাইজার, নার্সিং অফিসার, মিডওয়াইফ, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ ১৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী।

ভায়া ক্যাম্প সম্পর্কে কথা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ওমর খসরুর সঙ্গে। তিনি জানান, নানা কারণে জরায়ু মুখে ক্যানসার হয়। এর মধ্যে এইচপিভি ভাইরাস, অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকা, ধূমপান, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া, দীর্ঘদিন ধরে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল সেবন, ৩ বা তার অধিক সন্তান ধারণ বা ঘনঘন সন্তান ধারণ অনিরাপদ প্রসব, অতিরিক্ত বা দুর্গন্ধযুক্ত সাদাস্রাব যাওয়া, ফল ও শাকসবজি কম খাওয়া, এমন কি বংশগত কারণেও জরায়ু মুখে ক্যানসার হতে পারে।

এলাকাবাসী জানান, জরায়ু মুখে ক্যানসার শনাক্তকরণের কার্যক্রম এ উপজেলায় অনেক আগ থেকে চলছিল। তবে বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা যোগদানের পর থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের ভায়া ক্যাম্প চালু হয়েছে, যা এর আগে ছিল না। এ ক্যাম্পেইনের কারণে নারীদের স্বাস্থ্য সচেতনতা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের লাউড়া গ্রামের চার সন্তানের জননী নুসরাত জাহান রিনা (৫০) জানান, তিনি এসেছেন ভায়া করতে। ক্যাম্প পরিচালনা যারা করছেন তাদের আরচণ ও ব্যবহার অত্যন্ত মানবিক। একই এলাকার তিন সন্তানের জননী জোসনা বেগম (৩৫) বলেন, এ সেবার কারণে গ্রামীণ নারীরা অনেক উপকৃত হবেন।

Images
Attachments
Publish Date
14/02/2023
Archieve Date
24/02/2055